Logo
TV
ব্রেকিং নিউজঃ
Tuesday 17th September 2024
সারা বাংলা খুলনা ঝিনাইদাহ
ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ৩৫০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
 SUNNEWSBD.COM
 Publish: 07-Mar-2019

ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের ৩৫০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত



সাননিউজবিডি ডটকম ডেস্ক:মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাঁচ বছর আগে স্থাপন করা হয় ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ। বর্তমানে এই কলেজে ৬টি ব্যাচে সাড়ে ৩শ’ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। কলেজকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অনুষদভুক্ত করার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু সেই দাবি বাস্তবায়ন হয়নি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প চলমান থাকায়। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারপরও মন্ত্রণালয় থেকে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। ফলে যবিপ্রবি অনুষদভুক্ত কিংবা স্বতন্ত্র কলেজ হিসেবে এটি আগাতে পারছে না।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনের মুখে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জানতে চাইলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। সেখানকার শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের দাবি অনুষদভুক্ত করার। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, রিজেন্টবোর্ডের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। বাকীটা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে’।

‘তারা কলেজটি শিক্ষামন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করলে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদভুক্ত হয়ে যাবে। এর মাধ্যমে কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে পরিচালিত হবে। লেখাপড়ার মানও বাড়বে’।

জানা যায়, ২০১৪ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের হলিধানীতে ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেনারি কলেজ স্থাপন প্রকল্প শুরু হয়। ওই বছর শিক্ষার্থী শুরু হয় ভর্তি কার্যক্রম। কলেজটি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। বর্তমানে ৬টি ব্যাচে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কলেজ স্থাপন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কলেজটি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদভুক্ত করা যাচ্ছে না।

যবিপ্রবি অনুষদভুক্ত করার দাবিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১ মার্চ কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, জাতির জনকের সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে সামনে নিয়ে দক্ষ প্রাণি চিকিৎসক হওয়ার আশায় ঝিনাইদহ এই কলেজে তারা ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের সে স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

২০১৪ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের আওতায় কলেজটির যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আন্ডারগ্রাজুয়েশন লেভেল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার আইনি কোনো বৈধতা নেই। আবার কলেজটি পরিচালনার কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালাও নেই। যার ফলে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুতেই নানা সমস্যার সম্মুখীন। কলেজটিতে অকাঠামো আছে। কিন্তু দক্ষ ও পর্যাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষা উপকরণের অভাব রয়েছে। ল্যাবরেটরি আছে, রিঅ্যাজেন্ট নেই।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় সমমর্যাদার এই কলেজটিতে কোনো অধ্যাপক কিংবা সহযোগী অধ্যাপক নেই। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ও অতিথি শিক্ষক দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ফলে সেশন জট বাড়ছে। ইন্টার্ন প্রাণি চিকিৎসকদের কোনো সম্মানি ভাতার ব্যবস্থা নেই। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কলেজে সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

কলেজটি যবিপ্রবি অনুষদভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে প্রশাসনের সহায়তায় গত ১ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সেশনজট আরও বাড়বে। ভবিষৎ নিয়েও শংকিত শিক্ষার্থীরা।

জানতে চাইলে ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. অমলেন্দু ঘোষ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি লিখিতভাবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদভুক্তি। এটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার’।

‘প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কলেজটি শিক্ষামন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করলে, তারপর যবিপ্রবি অনুষদভুক্ত করা সম্ভব হবে’।





সাননিউজবিডি ডটকম




এখানে আরও খবর রয়েছে





তারিখ অনুযায়ী খবর দেখুনঃ