Logo
TV
ব্রেকিং নিউজঃ
Tuesday 17th September 2024
সম্পাদকীয়
বিশ্বস্বাস্থ্যে সতর্কবার্তা
 SUNNEWSBD.COM
 Publish: 03-Feb-2020

বিশ্বস্বাস্থ্যে সতর্কবার্তা



রোগব্যাধি নিয়ে আতঙ্ক নয়, দরকার হলো সতর্কতা ও সচেতনতা। চীন থেকে ‘করোনা ভাইরাস’ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। করোনা ভাইরাসে চীনে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২১৩ জন মারা গেছে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। চীন ছাড়াও থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৮ দেশে ৯৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ‘অভূতপূর্ব প্রাদুর্ভাব’ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, সর্দি, জ্বর, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়।

সপ্তাহাধিককাল আগে আমরা সম্পাদকীয়তে মত প্রকাশ করি যে, করোনা ভাইরাস যেন কোনভাবেই বাংলাদেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে না পারে সে ব্যাাপারে আগাম ব্যবস্থা নেয়া সমীচীন। বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার পরামর্শও দেয়া হয়। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশ থেকেই বাংলাদেশে পর্যটক বা ব্যবসায়ীদের নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। ফলে এই ভাইরাসটি বাংলাদেশে প্রবেশ করার শঙ্কা প্রবল। সব মহল করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিচ্ছে এটি আমাদের আশা এবং স্বস্তির বিষয়। তবে শুধু সরকারের পদক্ষেপের ওপর ভরসা করে থাকলেই চলবে না, জনগণকেও দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে। ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, যেমন- ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করা, বেশি লোক সমাগম হয় অর্থাৎ সভা-সমাবেশস্থলে উপস্থিত না থাকা, হাত ও ভালভাবে পরিষ্কার করে খাওয়া- এগুলো মেনে চলতে হবে। ইতোমধ্যে আগাম সতর্কতামূলক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন এবং আইএইচআর স্বাস্থ্য ডেস্কগুলোতে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হযরত শাহজালাল (র) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন প্রবেশপথে করোনা ভাইরাস স্ক্রিনিং (শনাক্ত) কার্যক্রমও নেয়া হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে রোগের ওপর নজরদারি কার্যক্রম।

ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় পাঁচ দিন লাগে। প্রথম লক্ষণ জ্বর। এরপর শুকনা কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যেই শ্বাসকষ্ট। যেহেতু ভাইরাসটি নতুন, তাই এর কোন টিকা বা ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার হয়নি। চিকিৎসা শুধু লক্ষণভিত্তিক। তবে যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা ভাইরাসটি বহন করছেন তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। বারবার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, ঘরের বাইরে গেলে ‘মাস্ক’ পরতে হবে। প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

সরকার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য অধিদফতর ও আইইডিসিআরে যৌথ কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরে কর্মরত সব বিভাগের অধিকতর সমন্বয় ও এয়ারলাইন্সগুলোর আশু করণীয় সংক্রান্ত সভা হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগী সম্পর্কে করণীয় সব বেসরকারী হাসপাতালেও পাঠানো হয়েছে। সব জেলা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘আইসোলেশন ইউনিট’ নির্দিষ্টকরণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সতর্কতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেয়ায় জনমনে শঙ্কা হ্রাস পেয়ে স্বস্তি এসেছে।





সাননিউজবিডি ডটকম




এখানে আরও খবর রয়েছে





তারিখ অনুযায়ী খবর দেখুনঃ