Logo
TV
ব্রেকিং নিউজঃ
Tuesday 17th September 2024
ইসলামী জগৎ
বিম্ভান্ত্রির বেড়াজালে তারাবীহ সালাত।
 SUNNEWSBD.COM
 Publish: 09-May-2018

বিম্ভান্ত্রির বেড়াজালে তারাবীহ সালাত



মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমিন, সান নিউজ ডেস্কঃ ৯ মে ২০১৮.

তারাবীহ অর্থ আরাম,অবসর,বিশ্রাম,বিরতি। শরীয়তের পরিভাষায় রমজানুল মোবারকের রাতে এশার নামাজের পর যে নামায পড়া হয় তাকে তারাবীহ’র নামায বলা হয় ।

والتراويح جمع ترويحة وهى فى الاصل مصدر بمعنى الستراحة سميت به الاربع ركعات المخصوصة لاستلزامها استراحة بعدها كما هوا السنة فيها

অর্থাৎ-প্রতি চার রাকাত নামাযের পর সম পরিমাণ সময় আরাম বা বিশ্রাম নেয়া হয় বলে একে সালাতুত তারাবীহ্‌ বলা হয়। এ সময়টুকু বিশ্রাম নেয়া বা বিরতি দিয়ে পড়া সুন্নত। দ্রঃ বাহরুর রাঈক্ব খন্ড ২ পৃষ্ঠা ৬৬

বিভ্রান্তির বেড়াজালে তারাবীহ সালাত নিয়ে আজ মুসলিম উম্মাহর মধ্যে চরম মনস্থত্বিক দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে। না বুঝার কারণে অথবা শোনা কথা কে প্রাধন্য দিয়েই এ বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত মুসলিম জাতি। তারাবীহ সালাতের মর্ম পর্যন্ত অনেকেই বুঝেন না।

তারাবীহ্‌র মর্ম : তারাবীহ্‌র মর্মকথা বা আসল উদ্দেশ্য সিয়ামের রাতে জেগে থেকে ইবাদতি করা। তারাবীহ সালাতের মাধ্যমে কিয়ামুল লাইল করা। এতে ইবাদাতের পাশাপাশি রয়েছে স্বাস্থের জন্য বেশ নিয়ামক। ইফতারীর পর তারাবীহ সালাত আদায় করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সম্মত কাজটি করা হয়ে যাচ্ছে। ডা: নুর জুরজান তার গবেষনায় বলেছেন, ইফতারীর পরে অন্তত পক্ষে ৩ ঘন্টা ১২ মিনিট খাবার থেকে বিরত থাকা রোজাদারের জন্য স্বাস্থ্য উপযোগি। তবে হালকা পানিয় খাবার খেতে পারলে সেটা মন্দ হয়না। তাহলে স্বাস্থ্য বিধির আলোকে তারাবীহ সালাতের আসল উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে ইবাদতের মাধ্যমে রাত্রি প্রথম ভাগে কিয়দাংশ জাগরণ।

কতটুকুন সময় বা কয় রাকাত তারাবীহ সালাত আদায় করলে উদ্দেশ্য সফল হবে। হাদিসের আলোকে ও ইসলামী গবেষকদের বক্তব্য থেকে জেনে নিই। ইমাম আল হাফিয ও আল কিরমানী বলেছেন-

قال الحافط المراد من قيام الليل ما يحصل به مطلق القيام كما قدمناه فى التهجد سواء. وكذا النووى ان المراد بقيام رمضان الصلوة التراويح.. واغرب الكرمانى فقال اتفقو على ان المراد بقيام رمضان صلوة التراويح

তারাবিহ‘র সালাত কত রাকাত সে বিষয়ে প্রসিদ্ধ চার ইমাম সহ জমহুর (প্রায় সকল) উলামা এ ব্যাপারে একমত যে তারাবীহ্‌র সালাত কম পক্ষে ২০ রাকাত। ইমাম মালিক (রঃ) এর একটি বর্ণনা মতে তারাবীহ ৩৬ রাকাত এবং অপর বর্ণনায় ৪১ রাকাতও পাওয়া যায় তৃত্বীয় আরেক বর্ণনায় জমহুর উম্মতের মতই ২০ রাকাত পাওয়া যায় এর মধ্যে ৪১ রাকাতের সাথে তিন রাকাত বেতের আর দু রাকাত নফল অর্থাৎ ৪১ থেকে ৫ বিয়োগ হলে ৩৬ রাকাত ই অবশিষ্ট থাকে যা তারাবীহ হিসাবে গন্য। এরপর বাকী রইল ২০ রাকাত এবং ৩৬ রাকাতের দুটি বর্ণনা। এর বিস্তারিত বেদায়াতুল মুজতাহিদ কিতাবে ইমাম মালিক (রাঃ) বর্ণিত ৩৬ রাকাত ও ২০ রাকাতের এভাবে দেয়া হয়েছে যে, মক্কার মুসলমানদের সর্বদাই আমল ছিল যে তারা ২০ রাকাত তারাবীহ পড়তেন। কিন্তু তারা তারাবীহ‘র প্রতি চার রাকাত অন্তর অন্তর যে বিরতি দেয়া হত এ সময়ে ১ টি তওয়াফ সেরে ফেলতেন। অন্যদিকে মদীনার মুসলমানদের তওয়াফের সুযোগ না থাকায় তারা এ সময়ে আরো ৪ রাকাত পড়ে নিতেন। এ জন্য মদীনা বাসীর হয়ে যেত ২০+১৬ = ৩৬ রাকাত। এতে প্রমানিত হয় তারাবী ২০ রাকাতই এবং এর উপর চার ইমামই একমত। ( ফতোয়া এ ইবনে ক্বাদামা খন্ড-২ পৃষ্ঠা ১৬৭ বাহরুর রাইক্ব খন্ড ২ পৃষ্ঠা-৬৬ মাআরিফুস সুনান খন্ড ৬ পৃষ্ঠা-২২১ দারসে তিরমিয়ি ২য় খন্ড)

প্রখ্যাত মুহাদ্দিস মাওলানা হাবিবুর রহমান আযমী রাকাত এ তারাবীহ্‌ গ্রন্থের ৬১-৬২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষক পন্ডিতগন একথা স্পষ্ট করেছেন যে তারাবীহ্‌র নামায ২০ রাকাতই পড়া হত মক্কা মদীনায় কিন্তু সওয়াবের দৌড়ে মক্কাবাসী তওয়াফের মাধ্যমে অনেক এগিয়ে যাচ্ছেন এই ভাবনায় মদীনার লোকেরা প্রতি চার রাকাত অন্তর একাকী আরো চার রাকাত পড়ে নিতেন। তাই ২০+১৬=৩৬ রাকাত হয়ে যেত। এতদ্ব্যাতীত এটাও প্রামানিত যে তারা জামাত শেষে রাতের শেষাংশেই এই ১৬ রাকাত পড়তেন। সুতরাং এটাই সত্য যে, ইমাম মালিক (রঃ) তার বর্ণনায় ২০ রাকাত তারাবীহ্‌র সাথে মদীনাবাসীর অতিরিক্ত ১৬ রাকাতের কথাও বাদ দেন নি।

ইমাম মালিক (রঃ) এর চতুর্থ আরেকটি বর্ণনায় বেতের সহ ১১ রাকাতের কথা পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে আল্লামা শামী (রঃ) এবং আবু বকর আল-আরবী বলেছেন, এটা তার ব্যক্তিগত আমল ছিল বা থাকতে পারে। (দ্রঃ উমদাতুল ক্বারী) এদিকে তুহফাতুল আহওয়াযী গ্রন্থাকার এই বর্ণনার গুরুত্বই বেশী দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু হাবীবুর রহমান আযমী (রঃ) তার গ্রন্থের ৮৪-৮৮ পৃষ্ঠায় এর বিশদ আলোচনা করে একথা স্পষ্টই প্রমাণ করেছেন যে এই বর্ণনাটি কোন অবস্থায়ই ইমাম মালিক (রঃ) এর বর্ণনা বা তার মত হিসাবে গন্য করা ঠিক নয়।

তারাবীহ সালাত ২০ রাকআত না ৮ রাকাআত বলে বিতর্ক সৃষ্ঠি করা মুলত ধর্মপ্রান সাধারন মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। এর থেকে মুসলিম উম্মাহ কে নিস্কৃতি দিতে হাদীসের আলোকে একটু পর্যালোচনা করা যাক। সংশয় নিরসনের জন্য ৮ রাকআত বা এসংক্রান্ত বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্নিত হাদীস ও তার সঠিক মর্ম নিম্নে তুলে ধরা হল।

আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হয়রত আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন , রমজানে রাসুল (সাঃ) এর সালাত কেমন ছিল? উত্তরে তিনি বললেন , রাসুল (সাঃ) রমজানে ও অন্যান্য মাসে বিতির সহ এগার রাকআতের বশী পড়তেন না। (বুখরী শরীফ হাঃ নং ১১৪৭)

ইয়াহইয়া ইবনে আবু সালামা (রঃ) বলেন আমি রাসুল (সঃ) এর রাত্রী কালীন সালাত সম্পর্কে আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম । উত্তরে তিনি বললেন, রাসুল(সঃ) রাত্রে তের রাকআত সালাত আদায় করতেন । প্রথমে আট রাকাত পড়তেন , এর পর বিতির পড়তেন, তার পর দুই রাকত সালাত বসে আদায় করতেন । ( মুসলিম শরীফ- হাঃ নং ১৭২৪)

এ হাদীস দ্বারা যারা তারাবীহ ৮ রাকাত এর উপর দলীল পেশ করে থাকেন তাদের বুঝা উচিত। আয়েশা (রাঃ) থেকে উপরোক্ত হাদীস দুটি যেমনি ভাবে সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে ঠিক তেমনি মুসলিম শরীফেই আয়েশা (রাঃ) থেকে দশ রাকাতের হাদীস ও বর্ণিত আছে। যেমন:-

কাসেম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , আমি আয়েশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রাসুল (সাঃ) রাত্রিতে দশ রাকাত সালাত, এক রাকাত বিতির ,ও ফজরের দুই রাকাত সুন্নত সহ মোট ১৩ রাকাত পড়তেন। ( মুসলিম শরীফ- হাঃ নং ১৭২৭)

এমন কি আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হদীস গুলোর প্রতি লক্ষ করলে বোঝা যায় রাসুল (সাঃ) রাত্রীকালীন সালাত- কোন রাত্রীতে ১১ রাকাত ,কখনো ১৩ রাকাত কখনো ৯ রাকাত, আবার কখনো ৭ রাকাত ও, আদায় করতেন । সুতরাং আয়েশা (রাঃ) এর হাদীস দ্বারা কোন সংখ্যা নির্দিষ্ট করা সম্পুর্ন অযৌক্তিক।

প্রকৃত পক্ষে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস গুলো তাহাজ্জুদ সম্পর্কিত , তারাবীহ সম্পর্কিত নয় । একারনেই হাদীস গ্রন্থাকারগন এজাতীয় হাদীসকে তাহাজ্জুদের অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন , তারাবীর অধ্যায়ে উল্লেখ করেননি।

যারা তারাবীহ ৮ রাকাত হওয়ার স্বপক্ষে যে হাদীসগুলো পেশ করে থাকেন, সে অনুযায়ী তারা নিজেরাই আমল করেন না। কেননা হাদীসে রমজান ও অন্যান্য মাসের কথাও উল্লেখ রয়েছে , অথচ তারা তাদের পেশকৃত দলীলেলর পক্ষের হাদীস অনুযায়ী অন্যান্য মাসে তারাবীহ পড়েন না।

সায়ের ইবনে ইয়াজিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন সাহাবা গন উমর (রাঃ) এর খেলাফত কালে রমজান মাসে বিশ রাকাত তারাবীহ পড়তেন । (বাইহাকী শরীফ-খঃ ২/৪৯৬ হাঃ নং ৪৬১৭)

ইয়াজিদ ইবনে রুমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ- হযরত উমর (রাঃ) এর যুগে সাহাবারা বিতির সহ তেইশ রাকাত তারাবীহ পড়তেন । (মুয়াত্তা মালেক খঃ ১পৃঃ ১১৫)

আতা ইবনে আবী রাবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি সাহাবাদেরকে বিতির সহ তেইশ রাকাত তারাবী পড়তে দেখেছি ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা – ৫/২২৪)

এছাড়াও অসংখ্য হাদীস দ্বারা একথা সুস্পষ্ট রুপে প্রমানিত হয় যে, তারাবীহ সালাত ২০ রাকাত যার উপর খোলাফয়ে রাশেদীন ,সমস্ত সাহাবা , তাবেই, তাবে তাবেই, সালফে সালেহীন গন, ঐক্যমতে আমল করেছেন। এবং চার মাজহাবের ইমাম গনও এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষন করেছেন ।

সুতরাং ৮ রাকাত তারাবীহ এর কথা বলে সরলমনা মুসলমানদের অন্তরে বিভ্রান্তির বিষ ঢেলে ইসলামকে বিতর্কিত করা বাড়াবাড়ি।

আরো কতিপয় মতানৈক্য বক্তব্য নিচে দেয়া হলো-

ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাঃ) প্রখ্যাত মুজতাহিদ চার মাযহাবের বাইরে সর্বাধিক,আলোচিতও খ্যাতনামা ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাঃ) এবং তার অনুসারী বিশেষত আমাদের সময়কার গায়র মুকাল্লিদীন লোক প্রায় সকল উম্মতের ঐক্যমতের সাথে বিভেদ সৃষ্টি করে ৮ রাকাত তারাবীহ্‌র করে থাকেন। ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ) এ সম্পর্কে কি বলেছেন তার পর্যালোচনা এবং এ সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করা দরকার। তারাবীহ্‌র নামাযের রাকাত সম্পর্কে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ) এর একাধিক বক্তব্য ও মতামত পাওয়া যায়। যথা- রমজান এবং রমজানের আগে পরে রাসুল (সাঃ) ৮ রাকাত এবং ৩ রাকাত বেতের নামায পড়তেন। ৮ রাকাত নামায এতো দীর্ঘ হতো যে কখনো রাত অর্ধেক কখনো দুই তৃতত্বীয়াংশ এবং কখনো সেহরীর সময় শেষ হওয়ার উপক্রমক দেখাদিত। সুতরাং ক্বিয়ামে রমজানের আলাদা কোন নামায ছিলনা। এর প্রমাণ হযরত আয়েশা (রাঃ) এবং আবু যর (রাঃ) এর বর্ণিত দুটি হাদীস।

(ক) ১০ রাকাত তারাবীহ এবং ৩ রাকাত বেতের সহ ১৩ রাকাত।

(খ) ২০ রাকাত তারাবী এবং ১৬ রাকাত অতিরিক্ত ৩ রাকাত বেতের ২ রাকাত নফল সহ মোট ৩৬

(গ) ৪১রাকাত কিয়ামুল লাইল।

(ঘ) অধিকাংশ উম্মত এবং প্রসিদ্ধ চার ইমামের ঐক্যমত ২০ রাকাত তারাবীহ এবং ৩ রাকাত বেতের।

(ঙ) তারাবী ৮ রাকাত এবং ৩ রাকাত বেতের মোট ১১ রাকাত কিয়ামুল লাইল যা ইমাম মালিক (রঃ) এর বর্ণনা।

(চ) মুসল্লিদের অবস্থা বিবেচনায় ২০ রাকাত অথবা ৪১ রাকাত বা ১৩ রাকাত পড়া যাবে যাতে মুসল্লিরা বিরক্ত না হন।

(ছ) উম্মাহর ঐকমত্য হলো ২০ রাকাত বিধায় ৪১ আর ১১ এর মধ্যবর্তি ২০ রাকাতই উত্তম পন্থা। সর্বোপরি মুসল্লিদের অবস্থা বিবেচনা করে এবং একাকিত্বে নিজের মন ও শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে যে কোন এক পন্থা গ্রহণ করা যায়।

দ্রঃ মাজমুআ এ ফতোয়াই ইবনে তাইমিয়া ২২ খ ফতোয়াতুল কুবরা খন্ড ১ পৃষ্টা ১৭৬ মুজমুআ জাওয়ায়েদ খন্ডত পৃষ্ঠা ১৭২

মুহাদ্দিস হাবিবুর রহমান আযমী তার গ্রন্থে পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে ইমাম ইবনে তাই মিয়া (রঃ) ২০ রাকাতকেই মধ্যম পন্থা। এবং উম্মতের ঐকমত্য হিসাবে গ্রহণ করে নিয়েছেন বিধায় এ ব্যাপারে আর কোন নতুন ইখতিলাফ করা ঠিক নয়্‌ হাদীসের বর্ণনার বিভিন্নতার কারণেই তার মতামত গুলো ব্যক্ত করতে একাধিক মত পরিলক্ষিত এবং আট রাকাতের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে মনে হলেও তিনি একাধিকবার বলেছেন যে ২০ রাকাতের উপর উম্মত ঐকমত্য সুতরাং-২০ রাকাত সুন্নত হওয়ার ব্যাপারে আর কোন সংশয় তার উপর চাপিয়ে দেয়া যায় না।

والتراويح ان صلاّهاكمذهب ابى حنيفة والشافغى واحمد عشرين ركعته او كمذهب مالك ستاوثلاثين اوثلاث عشرة اِحدى عشرة فقدأحسن ….وكذا فى الفتاوى الكبرى لابن تيميه قد جاء مصرحا فى السنن انه لما صلى بهم قام رمضان بعدالعشاء وكان النبى صلى الله عليه و سلم قيامه بااليل هو وتره يصلى بالليل فى رمضان وغير رمضان… قد ثبت ان ابى ابن كعب كان يقوم بالناس عشرين ركعة فى قيام رمضان ويؤتر بالثلاث..

মুফতি তক্বী উসমানী রহ: বেশ গবেষণার পর এটাই সাব্যস্থ করতে সক্ষম হয়েছেন যে ২০ রাকাত তরাবীহ সুন্নাত। তিনি লিখেছেন এ সম্পর্কিত আরো বিস্তারিত জনার জন্য এই মসলকের সমর্থিত দলীল প্রমাণ ভিত্তিক কিতাব তোহফাতুল আহওয়াযী খন্ড ২ পৃষ্ঠা ৭২-৭৬ দেখা যেতে পারে।

শায়খ ইবনে হুমাম (রঃ): তারাবীহ্‌র সালাত কত রাকাত এ প্রশ্নে শায়খ ইবনে হুমাম (রঃ) জমহুর উম্মতের মতামতের সাথে একমত পোষন করেছেন যার লিখনিতে প্রমানিত হয়। তিনি লিখেছেন, ২০ রাকাত সুন্নত খোলাফা ই রাশিদীন এর। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাাহ (সাঃ) বলেছেন তোমাদের প্রতি আমার সুন্নত এবং খোলাফা এ রাশিদীনেরও সুন্নত (সমান প্রযোজ্য)। (ফতহুল কাদির খন্ড ১ , পৃষ্ঠা- ৩৩৪)

আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। সঠিক ভাবে তার ইবাদাত করার তাওফিক দিন। আমীণ

লেখক

চেয়ারম্যান,ইসলামিক দাওয়াহ ফাউন্ডেশন

খতিব, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ





সাননিউজবিডি ডটকম




এখানে আরও খবর রয়েছে





তারিখ অনুযায়ী খবর দেখুনঃ