Logo
TV
ব্রেকিং নিউজঃ
Thursday 21st November 2024
সারা বাংলা সিলেট সিলেট
সিলেট সিটিতে বিএনপির অপ্রত্যাশিত জয়, সমর্থকদের বাধভাঙ্গা উল্লাস
 SUNNEWSBD.COM
 Publish: 31-Jul-2018

অপ্রত্যাশিত জয়, বিএনপি সমর্থকদের বাঁধভাঙা উল্লাস

সাননিউজ বিডিডটকম ডেস্কঃ চার মহানগরে হারলেও সিলেটে বিএনপির জয় নিশ্চিত হয়ে গেল। অথচ ভোটের পর বিকাল এমনকি সন্ধ্যার পরও বিএনপির কর্মী সমর্থকরা ভাবতে পারেননি কী হতে যাচ্ছে। আর রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা আলিমুজ্জামানের ঘোষণায় বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরীর জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর কার্যালয়ের বাইরে থাকা বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা ফেটে পড়েন উল্লাসে।

এই জয় আসবে, সেটা ভাবতে পারেননি, সেটি খোলাখুলিই বললেন বিএনপি সমর্থক নজরুল। ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল না এমন বিজয় হবে।’

নজরুলের মতো ভাবতে পারেননি আরও শত শত সমর্থক। মুহূর্তেই রাতে বাসার বাইরে বেরিয়ে আসেন তারা। বৃষ্টির মধ্যেই নাচানাচি, চিৎকার আর উল্লাসে সিলেট নগরী মাতোয়ারা হয়ে পড়ে।

এর মধ্যে আরিফুলের ছবি নিয়ে রাস্তায় নেমে এসে ছোটখাটো বিজয় মিছিলও করতে দেখা যায় এক দলকে। কয়েকশ মোটরসাইকেলে করে শহর চক্কর দেয় আরও যুবক তরুণ।

রাতে যত বিএনপি সমর্থক একজোট হয়ে উল্লাস করেছেন, দিনে বিএনপির তত কর্মী সমর্থককে দেখা যায়নি ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে। চারদিকে নৌকা প্রতীকের কথাই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এটা স্পষ্ট বিএনপির সমর্থকরা গোপনে এসে কথা কম বলে ভোটটা দিয়ে গেছেন।

এই জয় কীভাবে সম্ভব হলো-জানতে চাইলে বিএনপি সমর্থক ইমন বলেন, ‘আরিফুল হক যে পরিমাণ কাজ করেছেন তার একটা প্রতিফলন হয়েছে।’

বিএনপি সব কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারেনি কেন- এমন প্রশ্নে জবাব এল, ‘ভয়ে মানুষ এজেন্ট হতে চায়নি।’

রাসেল নামে আরেকজন বলেন, ‘এই নগরীতে যেখানে সমস্যা হয়েছে আরিফুল হক সেখানেই ছুটে গেছেন। ড্রেনেজ ও সড়ক ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। যে রাস্তায় ৩০ মিনিট লাগত, সেখানে এখন ১০ মিনিটে যাওয়া যায়।’

২০১৩ সালে বিএনপির যে পাঁচ মেয়র পাঁচটি সিটি করপোরেশনে জিতেছেন, তাদের মধ্যে চারজনই বলার মতো কিছু করে দেখাতে পারেননি। এ জন্য সবাই অযুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন মামলার কারণে গ্রেপ্তার আর বরখাস্ত হওয়াটাকে।

সিলেটে আরিফুলও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি হয়ে কারাগারে কাটিয়েছেন দীর্ঘ সময়। আর পাঁচ বছরের মেয়াদের অর্ধেক সময়ই পালন করতে পারেননি দায়িত্ব। কিন্তু নগরবাসী বলছেন, যে সময়টায় তিনি কাজ করেছেন, উন্নয়ন করেছেন দৃশ্যমান। বিশেষ করে নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করতে খনন করা খালগুলো বেশ কাজে দিয়েছে।

তবে এখন কর্মী সমর্থকরা এসব বলছেন বটে, তবে ভোটের শেষেও আরিফুলের পক্ষে প্রকাশ্যে গলা ফাটানো কাউকে দেখা যায়নি। এমনকি প্রার্থী নিজেরও আত্মবিশ্বাস ছিল না এটা স্পষ্ট। কারণ, বিকাল চারটায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ভোটের ফল আগাম প্রত্যাখ্যান করেন। দাবি করেন, ভোট ডাকাতি হয়েছে।

আরিফুল অভিযোগ করেছেন দিনভরই। কেন্দ্র দখল, সিল মারা, এজেন্ট বের করে দেয়া, ভোটের নামে প্রহসন, বলা হয়েছে সব কথাই। এর মধ্যে তিনি এমনও বলেন, আগের রাতেই নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয়েছে।

তবে জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিলেটবাসীকে জয় উৎসর্গ করে নির্বাচনকে ঘিরে যা কিছু হয়েছে তা ভুলে গিয়ে সবার সঙ্গে সম্প্রীতির আহ্বান জানালেন।





সাননিউজবিডি ডটকম




এখানে আরও খবর রয়েছে


এই মুহুর্তের শীর্ষ খবর



তারিখ অনুযায়ী খবর দেখুনঃ



সর্বাধিক পঠিত