Logo
TV
ব্রেকিং নিউজঃ
Thursday 21st November 2024
সম্পাদকীয়
রোগ সৃষ্টিকারী সিগারেট কীভাবে ‘অত্যাবশকীয় পণ্য’ হয়!
 SUNNEWSBD.COM
 Publish: 12-Jun-2023

রোগ সৃষ্টিকারী সিগারেট কীভাবে ‘অত্যাবশকীয় পণ্য’ হয়!



বাংলাদেশে অত্যাবশীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন (The Control of Essential Commodities Act 1956) নামের একটি আইন রয়েছে। পাকিস্থান আমলে তৈরি এ আইনে সিগারেটকে অত্যাবশীয় পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। লেখার শুরুতে একটি বিষয় জানিয়ে রাখি, এর ঠিক এক বছর আগে ভারতেও এমন একটি আইন তৈরি করা হয়েছিল, যা THE ESSENTIAL COMMODITIES ACT, 1955 পরিচিত। এ আইনে কিন্তু সিগারেটকে অত্যাবশীয় পণ্য হিসেবে তারা নিজেদের জন্য তালিকাভুক্ত করেনি।

সিগারেটের মতো একটি ক্ষতিকর পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য কোনোভাবেই অত্যাবশকীয় পণ্যের তালিকায় থাকতে পারে না। তবে পাকিস্থানিদের তৈরি করা আইনে এত জরুরি কিছু থাকতে, এ দেশের মানুষের জন্য সিগারেটকে অত্যাবশীয় পণ্য হিসেবে নির্ধারণ করা অবাক করার মতো বিষয় নয়। এ দেশের জন্য পক্ষপাত দুষ্ট এ আইনটি তৈরি করা হয়েছিল আমার এ মন্তব্যের সন্দেহ দূর করার জন্য বলছি, এ আইনের পুরো নাম The Control of Essential Commodities Act, 1956 (East Pakistan Act)। অর্থাৎ এটি এ দেশের জন্য তৈরি করা আইন।

অত্যাবশীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সিগারেট তালিকাভুক্ত থাকার বিষয়টি নজরে আসে কোভিডের লকডাউনের সময়। এই সময় বিদেশি একটি কোম্পানিমূলত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুমতি সংগ্রহ করে তাদের ব্যবসার জন্য। কোভিডের সময় নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণের সরবারহ এবং যোজান নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও, তামাক কোম্পানিগুলো আইনের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যায়।

প্রশংসার বিষয় এই যে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সিগারেট কোম্পানির এই সুবিধা বাতিলের অনুরোধ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একটি পত্র প্রেরণ করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুক্তি ছিল তামাক স্বাস্থ্যহানিকর দ্রব্য এবং ধূমপায়ীদের কোভিডে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার অধূমপায়ীদের হতে বেশি। কিন্তু আইনের থাকার কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এই সুবিধা দিতে হয়েছিল। এখন সময়ে এসেছে, পাকিস্থান আমলে উপনিবেশিক মানসিকতার তৈরি আইনে সিগারেটের মতো ক্ষতিকর পণ্যকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করার বিধান বাতিল করা।

সিগারেট কোম্পানিগুলো এ সুবিধা পাওয়ার পেছনে রয়েছে আর এক বিরাট রহস্য। দেশের একটি বিদেশি বিনিয়োগকারী কোম্পানির বোর্ডে সরকারের একাধিক কর্মকর্তা থাকায় যুগের পর যুগ তারা এ ধরনের নানা সুবিধা নিয়ে আসছে। শুধু তাই নয় এই কোম্পানি এ সকল কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ রয়েছে। বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের দায়ে দোকানিদের জরিমানা করা হলেও কোনো কোম্পানিকে এখনো জরিমানা করা হয়নি। এমনকি ২০০৫ থেকে আজ পর্যন্ত মাত্র একবার একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এ আইনে কোনো নাগরিকের সরাসরি মামলা করার অধিকার নেই, যা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এ ঘটনাগুলো তুলে ধরার উদ্দেশ্য আইনে সিগারেট কোম্পানিকে প্রাধান্য দিলে বা অধিকার দিলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, তা তুলে ধরা।

গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে অনেক উন্নতি করেছে মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যু, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বিশ্বের মডেল। কিন্তু আজ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাধে চেপেছে অসংক্রমাক রোগের বোঝা। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, ডায়বেটিসের মতো অসংক্রামক রোগ, দেশে মোট মৃত্যুর ৭১% জন্য দায়ী।

আশার কথা হচ্ছে, এসব রোগ প্রতিরোধ যোগ্য, এ জন্য তামাক ব্যবহার কমানো, শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আর এ রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে কমানো করা সম্ভব হলে, বাংলাদেশ পক্ষে হয়তো পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থা বিনামূল্যে করে দেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশ উন্নত দেশের লক্ষ্যে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে এ ধরনের আধুনিক চিন্তা করাই শ্রেয়।

আইনে সিগারেট অত্যাবশীয় পণ্য হিসেবে নানা সুবিধা পাচ্ছে। অথচ গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বের অন্যতম সবজি এবং ফল উৎপাদনকারী দেশ হয়েও এ দেশের অধিকাংশ জনগণ পর্যাপ্ত পরিমান সবজি গ্রহণ করছে না। এর পেছনে পর্যাপ্ত সরবারহ এবং যোগান ব্যবস্থাকে দায়ী করা হচ্ছে। অথচ পর্যাপ্ত সবজি গ্রহণ করানো সম্ভব হলে এদেশের ২.৭ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হতো। আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি রোগ সৃষ্টিকারী সিগারেটকে আইনের প্রদান্য দিব না, রোগ প্রতিরোধকারী স্বাস্থ্য খাদ্যের যোগানকে প্রধান্য দিব।

সিগারেট অত্যাবশীয় পণ্য আইনে রাখায় সরকারের কোন সুবিধা হচ্ছে না।। কিন্তু সিগারেট কোম্পানিগুলো এসকল আইন এবং বোর্ডে সরকারের কর্মকর্তা থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে আইন অমান্য করছে আর সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এগুলো তাদের দাম্ভিকতা এবং প্রশাসনকে প্রভাবিত করতে কাজে লাগাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো (বিইআর) ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) এর যৌথভাবে করা এক গবেষণায় দেখা যায়, সিগারেট কোম্পানিগুলোই সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে দোকানদারদের কাছে সিগারেট বিক্রি করছে, আর বিক্রেতারা তার চেয়ে বেশি মূল্যে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছে। এটা কেবল রাজধানীতে নয়, দেশের সর্বত্রই এ চিত্র পাওয়া গেছে। যদি এই বিক্রয় মূল্যের ওপর কর আদায় সম্ভব হতো তাহলে চলতি অর্থবছরেই প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেতো সরকার। কিন্তু এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় এভাবে বছরের পর বছর তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে বিপুল অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো।

বিইআর ও বিএনটিটিপির “তামাকজাত দ্রব্যের (সিগারেট ও বিড়ি) খুচরা ও পাইকারি বিক্রয়মূল্যে জাতীয় বাজেটে মূল্য ও কর পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণে একটি সমীক্ষা” শীর্ষক গবেষণাটির মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, অতিউচ্চ স্তরের সিগারেটের ২০ শলাকার প্যাকেটে মুদ্রিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২৭০ টাকা হলেও বিক্রি করা হয় গড়ে ২৯৪.২৯ টাকায়। বিক্রয়কেন্দ্র ভেদে এটা ৩০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে। উচ্চ স্তরের সিগারেট ২০৪ টাকার পরিবর্তে গড়ে প্রায় ২২৯.৮৮ টাকায়, মধ্যম স্তরের সিগারেট ১২৬ টাকার পরিবর্তে ১৩৫.৮৬ টাকায় এবং নিম্ন স্তরের সিগারেট ৭৮ টাকার পরিবর্তে ৯৫.১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এলাকাভেদে প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বিড়ির ক্ষেত্রেও এভাবে সর্বোচ্চ মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে এভাবে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট-বিড়ি বিক্রি অব্যাহত থাকায় প্রতিবছরই হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সিগারেটের প্যাকেটে খুচরা মূল্যের আগে ‘সর্বোচ্চ’ শব্দ লেখা নেই। অভিযোগ রয়েছে, মূসক আইন ও বিধিতে ‘সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য’ লেখা থাকলেও সিগারেট কোম্পানিগুলো প্রভাব খাটিয়ে এসআরওতে ‘বিক্রয় মূল্য বা খুচরা মূল্য’ লেখিয়ে নিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সিগারেট কোম্পানিগুলো প্যাকেটের গায়ে সর্বোচ্চ শব্দ লিখছে না। বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)-র অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিদিন সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা ভোক্তার পকেট থেকে অতিরিক্ত চলে যাচ্ছে, যা মাসে প্রায় ৬০০ কোটি আর বছরে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩০০ কোটি টাকা। সিগারেট কিনতে ভোক্তার পকেট থেকে যাওয়া এ টাকার ওপর প্রতিদিন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় ১৩.৬৮ কোটি, মাসে প্রায় ৪১০.৪ কোটি এবং বছরে প্রায় ৪৯৯৩.২ কোটি টাকা। সরকার নির্ধারিত খুচরা মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে অধিক মূল্যে সিগারেট বিক্রয় হওয়ায় সরকার এই রাজস্ব হারাচ্ছে। এ ঘটনা প্রমান করে সিগারেট কোম্পানিগুলো আইনের প্রতি কোন শ্রদ্ধা নেই, নেই সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা। সরকারের আইন ও নীতিকে তাদের হীন স্বার্থে ব্যবহার করাই তাদের মূল লক্ষ্য।

১৯৫৬ সালে পাকিস্থান আমলে তৈরি আইনের ধারাবাহিকতায় সিগারেটের মতো একটি ক্ষতিকর পণ্যকে বিদ্যমান অত্যাবশীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন রাখার কোনো আইনি ও নীতিগত সুযোগ আছে কি না, তা আইনের আলোকে বিবেচনা করা জরুরি।

বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্বাস্থ্যকর যেকোনো ক্ষতিকর ভেষজকে নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এফসিটিসি র‌্যাটিফাই করেছে। এটি বিশ্বের প্রথম জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চুক্তি যাতে স্বাস্থ্যকে বাণিজ্যের ওপর স্থান দেওয়া হয়েছে। আর এ চুক্তি অনুসারে তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের বাধ্যকতা রয়েছে।

সংবিধান ও আন্তর্জাতিক চুক্তি বাধ্যকতার পর এবার তুলে ধরতে চাই, মহামান্য আপিল বিভাগে নির্দেশনা। মহামান্য আপিল বিভাগের সিভিল আপিল নং ২০৪-২০৫/২০০১ তাং ০১/০৩/১৬ এক রায়ে বাংলাদেশে যৌক্তিক সময়ে তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনতে নির্দেশনা প্রদান করেছে। আদালত একই রায়ে দেশে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের নতুন কোনো কোম্পানি অনুমোদন না প্রদান এবং বিদ্যমান তামাক কোম্পানিগুলো অন্য দ্রব্য উৎপাদনের সহযোগিতার নির্দেশনা প্রদান করেছে। The government should restited issued of licensing for setting up tobacco industry or bidi factory and direct the tobacco and bidi to switch over to some other industry to prevent produce of cigarettes and bidi and others tobacco related products, specifying a reasonable period of purpose.

সংবিধান ও আন্তর্জাতিক চুক্তি, মহামান্য আপীল বিভাগের নির্দেশনা পরবর্তীতে সরকারের অঙ্গীকারের বিষয়টিও এখানে উল্লেখ করা জরুরি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ সালে রাজধানীর সাউথ এশিয়ান স্পিকার’স সামিট এ ২০৪০ সালের মধ্যে দেশে তামাকমুক্ত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন, এ লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জের অর্থে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী গ্রহণ, তামাক কর নীতি সহজীকরনে জাতীয় তামাক কর নীতি প্রণয়ন এবং FCTC সাথে সামঞ্চস্য রেখে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণের পক্ষে প্রায় ১৫৭ জন মাননীয় সংসদ সদস্য চিঠি দিয়েছেন।

সংবিধান ও আন্তর্জাতিক চুক্তি, মহামান্য আপীল বিভাগের নির্দেশনা সরকারের তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার, মাননীয় সংসদ সদস্যদের তামাক নিয়ন্ত্রণের সমর্থনের প্রেক্ষিতে সিগারেট বা তামাককে অত্যাবশীয় পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে আইনে রাখা কোনভাবেই সমীচীন নয়। সিগারেট বা তামাককের মতো একটি রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর পণ্যকে অত্যাবশীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন রাখার হলে সংবিধান, মহামান্য আপীল বিভাগে নির্দেশনা, সরকারের তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অভিপ্রায় এবং মাননীয় সংসদের সুপারিশকে অবজ্ঞা সামিল। সুস্বাস্থ্য একটি উন্নত দেশের মানকাঠি, দেশকে এগিয়ে নিতে সিগারেট ও তামাককের মতো ক্ষতিকর পণ্য নিয়ন্ত্রণে, এ পণ্যকে অত্যাবশীয় পণ্য হতে বাতিল করা জরুরি।





সাননিউজবিডি ডটকম




এখানে আরও খবর রয়েছে


এই মুহুর্তের শীর্ষ খবর



তারিখ অনুযায়ী খবর দেখুনঃ



সর্বাধিক পঠিত